শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
Headline :
বান্দরবানে রুমায় সেপ্রু মৌজায় তিন বছর ধরে হেডম্যান নেই: প্রশাসনের পুনরায় মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরু রোহিঙ্গা ও উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম কালিহাতীতে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত মতিনের সাথে দিনরাত জনসংযোগ উখিয়ায় আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত: পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান। দুর্গাপুরে চাপাতির কোপে সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান ফকির গুরুতর আহত শেরপুর শ্রীবরদীতে কাঠবোঝাই ভ্যান উল্টে চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু দুই নারীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে সবুজ আন্দোলন নারী পরিষদ পাহাড়ে পিসিপি জেএসএস প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন মুক্তি কক্‌সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত “GGE2.0” প্রকল্পের বিস্তারিত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা (DIP) প্রস্তুতি কর্মশালা Pubali Bank PLC. Chittagong Principal office recently organized ADC Business Review Meeting

ঝিনাইগাতীর ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে, দেখার কেউ নেই

মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নে দেশ স্বাধীনতার আগে মহারশি নদীর পার ঘেষে স্থাপন করা হয়েছিল সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বিডিআর ক্যাম্প। ততকালীন ক্যাম্পের সরকারি কর্মকর্তা বিডিআর ফোর্স ও স্থানীয় এলাকাবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি বাজার বসানো হয়েছিল।

তাই সবার কাছে ক্যাম্পের বাজার নামে পরিচিত ছিল। ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পের বাজারে স্বাধীনতার পুর্বে থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ এ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি ক্রয়-বিক্রয় করতো। মহারশি নদী পথে যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এখান থেকে কৃষি পন্য সারাদেশে আমদানি রফতানি করতো।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে বাজারের কিছু অংশ জমিসহ বিডিআর ক্যাম্পটি মহারশি নদীর গর্ভেবিলিন হয়ে যায়। পরে এলাকার নামানুসারে বাজারটি ফাকরাবাদ বাজার নামে পরিচিত হয়ে উঠে। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাজারের জমিতে স্থানীয়রা স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নেয় বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে বাজারটি।

আশির দশকের পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জামানত ও মাসিক ভাড়া। বাজারের ইজারাদার মোঃ সালাম বলেন, এই বাজারে ততকালীন প্রতিবছর ইজারা ডাক হতো ৬০ হাজার টাকা। আর এখন বছরে মাত্র ১৪ হাজার টাকা ইজারা ডাক হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অবঃ সেনা সদস্য মোঃ মজিবর রহমান বলেন, আমার বাপ-দাদার আমলে এই বাজারে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাস মুরগী ধান চাউলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনার ঐতিহাসিক বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল।

কিন্তু বর্তমানে বাজারের সমুদয় জায়গা অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছে। তারা নিজেরাও ব্যবসা করেনা এবং কি অন্যকেও ব্যবসা করতে দেয়না। তাই সরকার প্রতিবছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, যদি সরকার অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে বাজারের জায়গা উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়। তাহলে বাজারটি সচল হওয়ার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page