নুরুল হোসাইন,টেকনাফ :
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে দুইজন আসামীসহ ৩০,০০০ পিস অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, আজ ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ অভিযানে দুইজন আসামীসহ ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সাফল্য বিজিবির মাদকবিরোধী অঙ্গীকারের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, অদ্য টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে কে কে খাল সংলগ্ন জালিয়ারজোড়া এলাকায় মায়ানমার হতে কতিপয় ব্যক্তি মাছ ধরার ছদ্মবেশে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত সহযোগীদের নিকট বিপুল পরিমাণ মাদক হস্তান্তরের অপচেষ্টা করতে পারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ২ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি টহল দলকে নদীর তীর ও তীরবর্তী স্থানে ওৎ পেতে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি, টেকনাফ বিওপি থেকে একটি নৌ টহলদলকে আধুনিক সামরিক বোটযোগে নাফ নদীতে মোতায়েন করা হলে মাদকবাহী একটি হস্তচালিত নৌকা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত কে কে খালের ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি অনুভব করে কেওড়া বাগানের ভিতরে কর্দমাক্ত মাটির নিচে মাদক লুকিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার কেওড়া বাগানে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং দুইজন আসামীকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীদের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে কে কে খাল সংলগ্ন কেওড়া বাগানের ভিতরে কর্দমাক্ত মাটির নিচ হতে বিশেষ উপায়ে মোড়কজাত ও পানি নিরোধক অবস্থায় সংরক্ষিত ৩টি প্যাকেট হতে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে, আটককৃত আসামী ও জব্দকৃত মাদকদ্রব্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় টেকনাফ মডেল থানাতে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আটককৃত আসামীরা হলেন,মোঃ নুরুল ইসলাম (৩০), পিতা-আব্দুল শুক্কুর, সাং-চৌধুরীপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, মোঃ আয়াস (২৪), পিতা-মোঃ আলম, সাং-চৌধুরীপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তাঞ্চলে সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এই দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
Leave a Reply