আশিক ইসলাম: জেলার বৃহত্তম ও সীমান্তবর্তী উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। আয়তনে মেহেরপুর জেলার সমান এই উপজেলায় বসবাস করে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ। তবে, বিশাল জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এখানকার স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে চরম সংকটে। ৮ লাখ মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৮ জন। যেখানে থাকা উচিত ছিল ৩৫ জন।
চলমান সংকট, চিকিৎসক সংকট এবং সম্প্রতি একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রচারিত ভিত্তিহীন সংবাদ নিয়ে শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ তৌহিদুল হাসান তুহিন এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোঃ ছামসুল আরিফিন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আরিফিন বলেন, এই হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। আমি নিজে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী দেখার পাশাপাশি আরএমও’র দায়িত্ব পালন করি। অথচ গত ১৯ জুন কয়েকটি গণমাধ্যম ভিত্তিহীনভাবে প্রচার করে আমি ডিউটি টাইমে অনুপস্থিত ছিলাম, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওইদিন অফিসে উপস্থিত ছিলাম এবং রোগীদের সেবা দিচ্ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ আমাদের কাজের উৎসাহ নষ্ট করে দেয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান বলেন, ৩৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে আমরা মাত্র ৮ জন কর্মরত। আমরা সীমিত জনবল নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সংবাদে আমাদের দিকটি বিবেচনা করা হয়নি। আমি চেম্বারে থাকা সত্ত্বেও কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এতে আমাদের মনে হয়েছে সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতিত্ব মূলক ।
Leave a Reply