একজন আলতাফ হোসেন স্যার ছিলেন বলেই আমরা আজ সাহস করে লিখতে শিখেছি
✍️ কলাম: সম্পাদকীয় :
সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়—এটা একটি দায়িত্ব, একটি দায়বদ্ধতা, একটি নৈতিক পথচলা। আর এই পথচলার প্রেরণা যাঁরা যুগে যুগে হয়ে ওঠেন, তাঁদের একজন হলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মরহুম মুহম্মদ আলতাফ হোসেন স্যার। তিনি ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অগ্রদূত, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সবচেয়ে বড় কথা—একজন নিঃস্বার্থ মানুষ।
মর্যাদাপূর্ণ এই মানুষটি ছিলেন সাংবাদিকতার আঙিনায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বহু সাংবাদিক তাঁর হাত ধরে পথ চলা শিখেছেন, কেবল কলম ধরার শিক্ষা নয়—তিনি শিখিয়েছেন সত্য কথা বলার সাহস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার সাহস, এবং মানবিকতা নিয়ে বাঁচার আদর্শ।
স্যার ছিলেন অদ্ভুত রকমের বিনয়ী, সহজ-সরল, আর সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা জানেন—তিনি কখনও কাউকে কষ্ট দিতেন না, বরং অন্যের কষ্ট নিজের হৃদয়ে ধারণ করতেন। একজন সাংবাদিকের যেই সহমর্মিতা থাকা দরকার, তার আদর্শ প্রতিচ্ছবি ছিলেন আলতাফ হোসেন স্যার।
আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর শিক্ষা, আদর্শ ও নৈতিক অবস্থান সাংবাদিক সমাজে চিরকাল বেঁচে থাকবে। তিনি যেন জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু স্থানে স্থান পান—এই প্রার্থনা রইলো মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে।
স্যার, আপনি ছিলেন অসংখ্য সাংবাদিকের কারিগর ও পথপ্রদর্শক।
আপনার দেখানো পথেই আমরা চলার চেষ্টা করবো।
আপনার স্মৃতি আমাদের কলমে, হৃদয়ে, কর্মে চিরভাসমান থাকবে।
🕊️ আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন—আমিন।
Leave a Reply