মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনো প্রতিনিধি
বিএনপির দুঃসময়ে নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে নেত্রকোনায় যিনি পরিচিত, তিনি অধ্যাপক ডা. মোঃ আনোয়ারুল হক। রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠাবান এই নেতা বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের এই কৃতী সন্তান একজন স্বনামধন্য অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জন হিসেবে যেমন জেলার স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখছেন, তেমনি রাজনীতির ময়দানেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘নাবিলা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার’ ইতোমধ্যেই জেলার মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ডা. আনোয়ারুল হকের রাজনীতিতে পথচলা শুরু হয় ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন।
দলের প্রতিটি আন্দোলন ও কর্মসূচিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এমনকি তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়, যার প্রতিবাদে এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি ডা. আনোয়ারুল হক দলীয় মনোনয়ন পান, তবে নেত্রকোনা-২ আসনে তিনি সরকারবিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ হয়ে উঠবেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি সদালাপী, নিবেদিতপ্রাণ ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিএনপি-ই আমার জীবন, বিএনপি-ই আমার মরণ। শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতির মাঠে আজীবন থাকতে চাই।”
বিএনপির ঘাত-প্রতিঘাতে টিকে থাকা ও সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ডা. আনোয়ারুল হকের অবদান নেত্রকোনার তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তাঁকে পরিণত করেছে এক সাহসী কান্ডারীতে।
Leave a Reply