মোঃ খান সোহেল (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কুখ্যাত ডিমের বেপারী মিয়াচান মারপিট ও শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান। মিয়াচানের অত্যাচারের শিকার হয়নি এমন লোক পাওয়া দুরূহ। অটোরিকশা ড্রাইভার, পথচারী থেকে শুরু করে নিজের আত্মীয় স্বজনরাও তার জুলুম থেকে রেহাই পায়নি। গত ৯ জুন সোমবার নিজের চাচাতো ভাই ফুক্কুল মিয়ার জানাযার নামাজে ও ১০ জুন মিয়াচানের চাচা আঃ খালেকের জানাজার নামাজে গিয়ে নিজের ভাতিজা ও ভাবিকে মারধর করে। এমন অভিযোগ এনে নিজের ভাতিজা বাদী হয়ে গত রাত বারহাট্টা থানায় একটি মামলা রুজু করলে ১২ জুন বৃহস্পতিবার সকালে মিয়াচান ও তার মেয়ে সুমাকে গ্রেফতার করে বারহাট্টা থানা পুলিশ।
অভিযোগ কারী আঃ মান্নান উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামের মৃত মুকতুল হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত মিয়াচান গুমুরিয়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
জানাযায় গত ৭ মে মিয়াচান মিয়ার বড় ছেলে সোহেল মিয়া অত্যাচারের শিকার হয়ে বাবার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিলো। এরপরও মিয়াচানের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতে সাহস পেতো না। গত ১০ জুন রাতে মিয়াচানের বিরুদ্ধে আর আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে মিছিল বের করে। মিছিলে তারা মিয়াচানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তুলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মিয়াচান বিভিন্ন ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থেকে শত-শত মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে সমাজে ভীতি সৃষ্টি করেছিলো ডিমের বেপারী মিয়াচান। নিজের ঘরের কর্মচারী, অটোরিকশা ও বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার থেকে শুরু করে নিকট আত্মীয় স্বজনরাও রেহাই পেতো না তার অত্যাচার থেকে। এক পর্যায়ে মিয়াচানের ভয়ে তার দ্বারে কাছেও কেউ আসতো না। দীর্ঘ দিনের নেশা হলো মানুষ কে মারপিট করা। কিন্তু কেউ যখন কাছে আসে না তখন সে নিজের সন্তানদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে নিজের আত্মীয় স্বজনরা এই কাজে বাঁধা দিলে আত্মীয় স্বজনদের ওপরও আক্রমনাত্মক হয় মিয়াচান ও তার মেয়েরা।
স্থানীয় মেম্বার আশরাফুল আলম রিপন বলেন, মিয়াচানের অত্যাচার এতোটাই বেড়েছিল যে রাস্তার মানুষগুলোও তার ভয়ে কথা বলতো না। বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার, পথচারী আত্মীয় স্বজন তার অত্যাচার থেকে কেউ রেহাই পেতো না।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, মারামারির মামলায় মিয়াচান ও তার মেয়ে সুমাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply