June 22, 2025, 1:46 am

বাংলাদেশ শেখ হাসিনা লেখা বস্তা এখনও বিতরণ হচ্ছে

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, May 28, 2025
  • 214 Time View

মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি

গেল বছরের আগষ্ট মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে বিদায় হয়েছে। এর পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার নাম সংবলিত কোন চিহ্নই রাখা হয় নি। নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাম বদলিয়ে নেত্রকোনা বিশ্ব বিদ্যালয় করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ৯ মাস পরও গুদামের চালের বস্তায় শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করা হয় নি। ভিজিডি চালের বস্তা বিতরণ কালে দেখা গেছে বস্তার গায়ে লিখা রয়েছে “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ”।  
মঙ্গলবার (২৭ মে) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) এর চাওল বিতরণের সময় শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ লেখা বস্তাগুলো দেখা গেছে। 
এই পর্যন্ত লক্ষ কোটি টাকার স্থাপনা, দামী দামী সাইনবোর্ড, বিভিন্ন রকম ব্যানার গুলো পরিবর্তন হলেও মাত্র ত্রিশ টাকার একটি বস্তা পরিবর্তন ৯ মাসেও হলো না। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 
বিএনপি একজন কর্মী আবুল কালাম আজাদ বলেন ৯ মাস হয়ে গেলে স্বৈরাচার হাসিনা বিদায় হয়েছে। এখনও গুদামের চালের বস্তায় তার নাম রয়ে গেছে। অনেক কিছুর নাম পরবর্তন হলো কিন্তু ১০ টাকার একটি বস্তা পরিবর্তনে বাঁধা কোথায়।  এই নিশ্চয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা চক্রান্ত। 
বারহাট্টা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আব্দুল বাছির খান বলেন, ভিজিডির চালের বস্তা বিতরণ কালে দেখা গেছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই লিখাটি না থাকলে ভাল হয়। আবার কিছু কিছু বস্তায় উৎপাদন তারিখ ২০২৩ লিখা আছে। এতো দিনের চাল ভাল থাকবে বলে মনে হয় না।  এই সব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 
বারহাট্টা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, পালিয়ে যাওয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম বিভিন্ন জায়গায় থাকা এটা কেউ মানতে পারছে না। পাবলিকও মানতে পারছে না দলীয় ভাবেও মানা যাচ্ছে না। ৯ মাস ১০ মাস হলো ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেছে। এখন যদি তার নাম বিভিন্ন জায়গায় থাকে তাহলে লাভ কি হলো? ফ্যাসিস্টতো রয়েই গেলো।  
বারহাট্টা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, বিগত সরকার বিদায় হওয়ার আগেই এই বস্তা গুলো ছাপা হয়েছে। এর পরও গুদামে যে বস্তা গুলো রয়েছে সেগুলোর নাম মুছে দিচ্ছি। মিল মালিকদেরও বলেছি যে পরবর্তীতে গুদামে চাল দেয়ার সময় এই নাম টি যেনো তারা মুছে দেয়। 
এই সময় সদর ইউনিয়ন থেকে ২৯৩ জন কার্ডধারী ১৫০ কেজি করে চাল পাচ্ছে বলে ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রতিটি ৩০ কেজি বস্তা ১০৫০ টাকা করে কিনে নিচ্ছে। এই সময় কেউ তাদের বাঁধাও দিচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories