June 22, 2025, 3:08 am

গারো পাহাড়ে বসতঘ‌র ভে‌ঙে ধান-চাল খে‌য়ে গে‌ল বন‌্য হা‌তির পাল

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, May 28, 2025
  • 47 Time View

মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ছয়টি বসতঘর ভেঙে ঘরে থাকা সদ্য তোলা বোরো ধান ও চাল খেয়ে গেছে ৩৫ থেকে ৪০টি বন্য হাতির দল। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বুরুঙ্গা-কালাপানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এ সময় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

বুধবার (২৮ মে) সরেজমিনে জানা গেছে, জানা যায়, গত সোমবার রাতে হাতির দলটি বন বিভাগের বাতকুচি বিট কার্যালয়ে হানা দেয়। তখন ঘরের আসবাব তছনছ করে বুরুঙ্গা-কালাপানি জঙ্গলে চলে যায় দলটি।

মঙ্গলবার ভোরে হাতির দল বুরুঙ্গা-কালাপানি গ্রামে হানা দেয়। এ সময় গ্রামের শাহীন মিয়া, সুফিয়া বেগম, সাফিকুল ইসলাম, হাসনা ভানু, মাজেদা খাতুন ও শহর ভানুর বসতঘরের টিন ভেঙে ঘরে থাকা ১৬০ মণ ধান ও ৩০ মণ চাল খেয়ে ফেলে। হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে ছয় পরিবারের লোকজন দ্রুত সরে পড়েন। সূর্য ওঠার আগেই হাতির দলটি আবার বরুঙ্গা-কালাপানি সীমান্তবর্তী জঙ্গলে চলে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। টিনে হাতির আঘাতের শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে ৩৫ থেকে ৪০টি হাতির উপস্থিতি দেখে তাঁরা ভয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। এ সময় হাতির দল ছয় পরিবারের ঘরের বেড়ার বিভিন্ন অংশ ভেঙে ঘরে থাকা ধান–চাল সাবাড় করে দেয়।

বুরুঙ্গা-কালাপানি গ্রামের গৃহিণী মাজেদা খাতুন বলেন, ‘ঘুমের ঘোরে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে বাড়ির উঠানে ৩০ থেকে ৪০টি হাতির পাল দেখতে পাই। ভয়ে ছেলেমেয়ে লইয়া বাড়ির পিছন দিয়া সইরা গেছি। পরে ঘরের টিন ভাইঙা বস্তায় থাকা ২০ মণ ধান ও ড্রামে থাকা ৬ মণ চাল খাইয়া শেষ কইরা দিছে। অহন সংসার কেমনে চলব এই লইয়া দুশ্চিন্তায় আছি।’

জানতে চাইলে শমশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন বলেন, শমশ্চুড়া ও কাটাবাড়ি এলাকার জঙ্গলে ৩০-৩৫টি হাতি দুই ভাগে অবস্থান করছে। বিট কার্যালয় ভেঙে শেষ রাতে কয়েকটি ঘর ভেঙে দিয়েছে।

মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ জেনেছি। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শাহিন কবির বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যেন দ্রুত ক্ষতিপূরণ পেতে পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories