মোঃ আবু তাহের, নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি, বগুড়া
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাড়ায় নিয়ে এক সিএনজি চালককে অপহরণ এবং মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারী সহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেড়াহাল গ্রামে। এই ঘটনায় অপহরণের শিকার সিএনজি চালক ইউনুস আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সিএনজি চালক ইউনুস আলী উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬শে অক্টোবর সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছিলেন ইউনুস আলী। এমন সময় জেমী খাতুন নামের এক নারী তার সিএনজি ২০০ টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে ডেড়াহাল গ্রামে নিয়ে যায়। এরপর আবার পুনরায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে যাবে বলে তাকে তার আত্মীয়র বাড়ির ভিতরে বসতে বলে। সরল মনে সিএনজি চালক বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতেই দুইজন যুবক তাকে জিম্মি করে সিএনজির চাবি, মোবাইল ফোন এবং তার নিকট থাকা ১ হাজার ৪০ টাকা কেড়ে নেয়, সেই সাথে ২ লক্ষ টাকা পুক্তিপন দাবী করে। টাকা দিতে অশ্বীকার করায় মারধর ও নির্যাতন করে। এমনকি তার মোবাইল দিয়ে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী ভাগিনার বিকাশ ও নগত (০১৭২৩-৭৫৭২২৫) নাম্বার থেকে অপহরণ কারীদের বিকাশ ও নগত (০১৭০৪-৪১৫২৫১) নাম্বারে সর্বমোট ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। টাকা পেয়ে সিএনজি চালক ইউনুসকে ছেড়ে দেন অপহরণ কারীরা।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ইউনুস আলী বলেন, জিম্মি করার পর জেমী খাতুন নামের ঐ নারীর সাথে আমার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারন করেছে। সেই সাথে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। একজন নিজেকে সাংবাদিক, একজন থানার পুলিশ এবং এক ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নির্যাতন সহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেছে। এমনকি থানায় অভিযোগ করার পরও একাধিক নাম্বার থেকে ফোন করে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেছে। হুমকির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই নাহিদ হোসেন বলেন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেই সাথে ঘটনার সাথে জরিত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়েছে। এমনকি তদন্তে উক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জিম্মি ও মুক্তিপন আদায়ের এমন একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি ওসি স্যারকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, বাদী (ভুক্তভোগী) সুস্থ হয়ে ফিরলেই তার অভিযোগের বিষয়ে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।