নুরুল হোসাইন,টেকনাফ:
টেকনাফের ঐতিহ্যবাহী জিরো পয়েন্ট ও শাপলা চত্ত্বর দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে এবার সেই জিরো পয়েন্ট ফিরে পাচ্ছে নতুন রূপ। স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে টেকনাফ পৌরসভা হাতে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটির সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকরা টেকনাফের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই জিরো পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য প্রায়ই ভিড় করেন। তাই এলাকাবাসীর দাবিতে পৌরসভা নতুন নকশায় চত্ত্বরটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে।
শিল্পী কুয়াশা বিন্দু-এর নকশায় নির্মিত হচ্ছে নতুন শাপলা চত্ত্বর। এতে থাকবে মনোমুগ্ধকর ওয়াটার বডি, আধুনিক ফোয়ারা এবং রাতে আকর্ষণীয় লাইটিং। মূল কাঠামোর গায়ে খোদাই করা হবে টেকনাফের ঐতিহ্যের প্রতীক—মাছ, শুটকি, সাম্পান, সাগর, লবণ চাষ ও সুপারি,যা টেকনাফের পরিচিতি বহন করবে “টেকনাফ ০ কিমি” লেখার পাশে।
সংস্কার কাজ চলাকালে যানজট এড়াতে পৌর ট্রাফিক বিভাগও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক শেখ এহসান উদ্দীন জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে শাপলা চত্ত্বর ও জিরো পয়েন্টের কাজ শেষ হবে। বাকি কিছু অংশ শেষ হলেই উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
পৌরসভার নিজস্ব বাজেট থেকে এই সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের আশা, সংস্কার শেষে জিরো পয়েন্ট ও শাপলা চত্ত্বর নতুন সাজে পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণ করবে এবং টেকনাফের ঐতিহ্যকে নতুনভাবে তুলে ধরবে।