নাজমুস সালেহীন সজীব
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরের হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকায় মেহেদী হাসান নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। নিহত যুবকের পরিবারের দাবি , এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির উঠোনে মেহেদীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত মেহেদী হাসান (২০) পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার বাবার নাম আব্দুল বারেক (৬০)। নিহতের বাড়ি হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর পূর্বপাড়া এলাকায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী ফরমান আলীর মেয়ে সাদিয়া আফরিন (১৫) যার সঙ্গে মেহেদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। প্রায় ছয় মাস আগে দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে আপসের মাধ্যমে মেহেদীর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনদিন আগে সাদিয়া পুনরায় পালিয়ে যায়। পরে তার ভাই সাব্বির হোসেন (২৫) তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। স্থানীয়দের দাবি, এরপরও মেহেদী সাদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মেয়ের বাবা ও ভাই ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। ঘটনার তিন দিন পরই বাড়ির উঠোনে মেহেদীর লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে মেহেদীকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জা নায়।
এলাকাবাসীও ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফরমান আলী ও তার ছেলে সাব্বির হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তারা তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন।এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।