কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বড় নাইপের ঘোনার লবণ চাষিরা চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বড় নাইপের ঘোনার ৬৬৪ কানি জমির মালিক ১০৫ জন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক এমপি জাফর আলমের প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় জমির মালিক মোহাম্মদ রহিম উদ্দিনের জেটি থেকে প্রতি মন লবণ থেকে দুই টাকা করে সম্পুর্ণ অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। শ্রমিকদের কাছ থেকে এই টাকা উত্তোলন করছে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাসিস্ট মুজিবুর রহমানসহ তার পালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, গেল বছরের ৫ আগস্টের পর চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন গং তাদের জমি উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সরেজমিন তদন্তপূর্বক জায়গা পরিমাপ করে দেন।
জমির মালিক মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক, চিহ্নিত চাঁদাবাজ ফ্যাসিস্ট মুজিবুর রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদাবাজ চক্র চাঁদা উত্তোলন করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে মানববন্ধন করে আমার পরিবারের সম্মানহানি করছে। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ পত্রিকায় মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। তিনি এই মিথ্যা ভিত্তিহীন প্রকাশিত সংবাদে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্ছিত ছিলাম।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে প্রকৃতপক্ষে যারা মানববন্ধন করেছেন তাদের কোন জায়গা জমি বড় নাইপের ঘোনায় নেই। বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে লোকজন সংগ্রহ করে পরিকল্পিত ভাবে মানববন্ধন করে। মুজিবের ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস করে না।
কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে জানা গেছে, ওই এলাকার ৭৬ ও ৭৭ দুই দাগ ক্রয়কৃত সম্পত্তির একক মালিক মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী।
৭৬ দাগে জেটি ও ৭৭ দাগে কলবোর্ড, জেটি দিয়ে ১০৫ জন জমির মালিকগণ বা চাষীরা শুষ্ক মৌসুমে ৬৬৪ কানি জমি থেকে লবণ উৎপাদনসহ রপ্তানি করে ওই দাগের জেটি ব্যবহার করে। আর ৭৭ দাগের কলবোর্ড দিয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছের চাষ করে কলবোর্ড ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়।
জেটি ও কলবোর্ডসহ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করেন ওই জমির মালিক মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন গং।