শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

টেকনাফের পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন

নুরুল হোসাইন,নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফ। একদিকে নাফ নদী, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর আর মাঝখানে সবুজে মোড়া পাহাড়-পর্বত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চলকে দেশের অন্যতম মনোরম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশেষ করে টেকনাফের পাহাড় বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন, যা প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের মিলনস্থল হিসেবে খ্যাত।

টেকনাফের পাহাড় পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্বতমালার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। এ পাহাড়গুলো বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে নাফ নদীর তীরে শেষ হয়েছে। পাহাড়গুলোর উচ্চতা খুব বেশি নয়, কিন্তু চারদিকে ঘন সবুজ বনানী, বাঁশবন ও ফলদ বৃক্ষরাজির সমাহারে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। এখানকার পাহাড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রজাতির বন্যপ্রাণী, পাখি, গাছপালা ও ঔষধি উদ্ভিদ, যা একে জীববৈচিত্র্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করেছে।

টেকনাফের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে একদিকে দেখা যায় নাফ নদীর স্বচ্ছ নীল জলরাশি, অন্যদিকে দিগন্তজোড়া সমুদ্রের ঢেউ। বর্ষার সময় পাহাড় বেয়ে ঝরে পড়া ঝর্ণাধারা আর সবুজে মোড়া পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীত মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ আসে এই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। লেদা, মারিশবনিয়া, হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপের আশপাশের পাহাড়গুলোতে ইকো-ট্যুরিজমের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পাহাড়গুলো শুধু সৌন্দর্যের উৎস নয়, বরং স্থানীয় মানুষের জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানকার বনজ সম্পদ, বাঁশ, ফলমূল ও ঔষধি গাছ স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। পাহাড় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ও মাটির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে টেকনাফের পাহাড় হুমকির মুখে। নির্বিচারে বন উজাড়, পাহাড় কাটা, অবৈধ বসতি স্থাপন ও চাষাবাদের কারণে পাহাড়ের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে। তাই সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সমন্বয়ে পাহাড় সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সময়ের দাবি।

টেকনাফের পাহাড় বাংলাদেশের দক্ষিণের প্রাকৃতিক রত্ন। এই পাহাড় শুধু পর্যটনের নয়, বরং পরিবেশ ও জাতীয় সম্পদের অংশ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টেকনাফের পাহাড় সংরক্ষণ এখন জরুরি। এই পাহাড় রক্ষা করা মানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page