শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

কক্সবাজারের রামুতে প্রথম প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানার যাত্রা শুরু

কক্সবাজার ডেস্ক: একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্যকে মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করলো প্লস্টিক পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। জেলা সদরের অদূরে রামু উপজেলার মিঠাছড়িতে স্থাপিত এই কারখানার উদ্বোধনকালে আমিন্ত্রত অতিথিরা এই উদ্যোগকে কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ গতকাল বৃস্পতিবার এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানাটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, ইউনাইটেড নেশনস অফিস অর প্রজেক্ট সার্ভিসেজ (ইউএনওপিএস) বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর– মেডিক্যাল ওয়েস্ট মেইসন সালাম, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইবনে মায়াজ প্রামাণিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জমির উদ্দিন, ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী ও মানবিক সংকট ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) সহযোগী পরিচালক ও অফিস ইনচার্জ রেজাউল করিম। খবর বাসসের।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য হওয়ায় এবং বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপে কক্সবাজারে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কক্সবাজার এই শহরে দিনে প্রায় সাড়ে ৩৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয়। এর মধ্যে একবার ব্যবহারের পরই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বা পলিথিন, পণ্যের মোড়ক, পলিপ্রোপিলিন এবং পাতলা পলিথিন ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো পুনঃ প্রক্রিয়া করা খুবই কঠিন এবং এর কোন বাজার মূল্য নেই। কক্সবাজারের এ রিসাইক্লিং কারখানায় এমন বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন সোফা, বেঞ্চ, কিংবা মজবুত খুঁটি।

কারখানাটি উদ্বোধন করে অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, এই উদ্যোগ টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি অনন্য উদাহরণ। এটি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, অন্যদিকে নারী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। অদূর ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

মেইসন সালাম বলেন, এটি এমন একটি দৃষ্টান্ত, যেখানে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে এবং নারীদের ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউএনওপিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page