মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার
“ফিস্টুলায় আক্রান্ত নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করি, প্রসবজনিত ফিস্টুলা মুক্ত দেশ গড়ি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রসবকালীন ফিস্টুলা নির্মূল দিবস ২০২৫। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জন কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম, জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস সাথী, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানউল হাবিব, ইউএনএফপিএ-এর কো-অর্ডিনেটর ডা. সপ্তর্ষি সাহা সামা, সিআইপিআরবি’র জেলা সমন্বয়ক শারমিনা পারভীন ও সুমন দাশ।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রসবজনিত ফিস্টুলা একটি স্পর্শকাতর নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ফিস্টুলামুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘ফিস্টুলা নির্মূল কার্যক্রম ২০৩০’ বাস্তবায়ন করছে, যাতে সহায়তা করছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও সিআইপিআরবি।
এ সময় জানানো হয়, ২০০৩ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিকভাবে দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে ভুগছেন। বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার এবং প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার নতুন রোগী যুক্ত হন।
শেরপুর জেলায় জানুয়ারি থেকে ২২ মে পর্যন্ত মোট ৮ জন ফিস্টুলা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ জনকে রেফার করা হয়েছে এবং ২ জনকে জাতীয় ফিস্টুলা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ৫ জন মাকে পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২০২৫ সালের মধ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলাকে ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা দেয়ার লক্ষ্যে স্বাস্হ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন।
বক্তারা বলেন, ফিস্টুলা নির্মূলে নিরাপদ প্রসব, বাল্যবিবাহ রোধ এবং কম বয়সে গর্ভধারণ নিরুৎসাহিত করতে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
Leave a Reply