মসজিদটি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন-এ অবস্থিত।
এটি প্রাচীন মোগল আমলে স্থাপিত বলে বিশ্বাস করা হয় এবং প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো একটি নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।
মসজিদের নামকরণ সংক্রান্ত জনশ্রুতি রয়েছে যে, এক মহীয়সী স্ত্রীকে “অসিয়ত” (অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া) দেওয়া হয়েছিল এবং তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তার স্বামী তাদের পুত্র “কালা” নামে গোল পাতার ছাউনি দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদ তাই “কালার মার (মায়ের) মসজিদ” নামে পরিচিত হয়।
মসজিদটি ১৮৭৬ সালে সেমিপাকা করে পুনর্নির্মাণ করা হয় জমিদার শেখ মুহাম্মদ মনু সিকদার দ্বারা।
পরবর্তী সময়ে মসজিদ ও তার সংলগ্ন যুদ্ধ (সামাজিক) কাজ পরিচালনায় ওয়াকফ ট্রাস্ট গঠিত হয়।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও লোকবিশ্বাস
মসজিদটি শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থান নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষের কথায়, যারা সমুদ্র বা নৌকাযোগে বিপদে পড়েন, তারা এখানে “মান্নত” করেন এবং কখনো কখনো অলৌকিকভাবে রক্ষা পান বলে বিশ্বাস করা হয়।
প্রতি ওয়াক্তে এই মসজিদে শতাধিক মুসল্লি নামাজ পড়েন, এবং জুমা নামাযে চরম সময়গুলোতে ৫০০–৭০০ জন পর্যন্ত মুসল্লি একত্রিত হন।
মহিলা সম্প্রদায়ের জন্যেও নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের ব্যবস্থাপনা রয়েছে।