মো: ইফতান চৌধুরী লেমন
(ঝিনাইগাতি উপজেলা প্রতিনিধি )
শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে শেরপুরের গারো পাহাড়ের কৃষকরা। চলতি বছরের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা এখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি নামবে বাজারে।
শীতকালীন সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন এখন কৃষকের চোখে মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও জেলায় বাম্পার ফলন হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রতিবছর এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে।
জানা যায়, হলদিগ্রাম ,সন্ধ্যাকুড়া ,ফাকরাবাদ,সহ কয়েক টি গ্রাম শেরপুর জেলার ভূমিবিন্যাস উর্বর হাওয়ায় বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চল ও সমতল উপজেলায় প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়। এছাড়া জেলার পাহাড়ি ২ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজি চাষ হয়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
চলতি বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে গেছে বীজ ও চারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে জেলার বাজারগুলোতে। হঠাৎ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে যায়। বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজি চাষ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আবাদকৃত সবজির মধ্যে আছে- ফুলকপি, পাতাকপি, মূলা, টমেটো, শিম, বরবটি ,মিষ্টিকুমড়া,লাউ, পালংশাক, লালশাক, পুইশাক ধনেপাতাসহ হরেক রকম শাক-সবজি।