সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, বিশেষ প্রতিনিধি:
মির্জাপুরের পাকুল্লায় বোনের বাড়িতে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে মিলিত হলেন চার ভাই। উল্লেখ্য, কনিষ্ঠ ভাই হাফেজ সৈয়দ নূরন্নবী হোসেন কর্মস্থল পোলার আইক্রীম কোম্পানি থেকে জরুরিভাবে আসতে পারে নাই।রবিবার (৫ অক্টোবর) পারিবারিক মিলনমেলায় আনন্দঘন পরিবেশে কেটেছে একদিন একরাত।
মেঝ ভাই সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক ঢাকা বেড়ানো শেষে মেয়ে সৈয়দা শারমিন আক্তার নিশু ও তার কন্যা মোসাম্মৎ সুমাইয়া ইসলাম ছোয়াকে নিয়ে সেঝ বোন সৈয়দা মুর্শিদা খাতুন লুচির বিশেষ আমন্ত্রণে পাকুল্লায় আসেন। তদরূপ বিশেষ আমন্ত্রণে সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ টাঙ্গাইল থেকে সাংবাদিকতা শেষে পাকুল্লায় যোগ দেন। বড় ভাই সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিক কালিহাতীর বাংড়া থেকে এবং সেঝ ভাই সৈয়দ মুজিবুল আলম সজীব ঢাকা থেকে চাকরির ডিউটি শেষে বোনের বাসায় আসেন। ফলে চার ভাই ও এক বোনের এ মিলনমেলা পরিবারে আনন্দঘন মুহূর্ত এনে দেয়।
ভোরে সবাই মিলে ওযুর মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। চার ভাই, বোন জামাতা মো: খাইরুল ইসলাম, ভাগিনা মো: মনিয হোসেন অর্থাৎ পুরুষরা মসজিদে এবং নারীরা ঘরে বসে ফজরের নামাজ আদায় করেন। এরপর শুরু হয় ভোজন—প্রথমে চা, মুড়ি-চানাচুর-কলার আড্ডা, পরে মাংস-সমুচা, দুপুরে পরিবেশিত হয় পোলাও, মাংস ও ডিম ভুনা।
ছবিতে ডান দিক থেকে: বড় ভাই সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক, সৈয়দ মুজিবুল আলম সজীব ও সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ।
ভাই-বোনের এই মিলনমেলায় অতীত স্মৃতিচারণ, হাসি-আনন্দ আর পারিবারিক বন্ধনের গল্পে মুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ।
ভ্রাতৃত্বের গুরুত্ব
ইসলামে ভাই-বোন একে অপরের সহায় ও আশ্রয়। পারিবারিক বন্ধন মজবুত রাখা ইমানের অংশ। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহযোগিতা ও মিলেমিশে থাকার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য বরকত ও ফজিলত। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন—“তোমরা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো, এতে রিজিক বৃদ্ধি পাবে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে।”
এ ধরনের পারিবারিক মিলন শুধুমাত্র আনন্দই নয়, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভালোবাসা ও ঐক্যের শিক্ষা দেয়।