মো: রিয়াজ জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চক্রপুর গ্রামে একটি মিথ্যা মামলার কারণে স্থানীয় কয়েকজন গরিব ও নিরীহ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাদী আসলাম মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থের জোরে এসব নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন ঈদের দিন বাদী আসলাম মিয়ার সঙ্গে গ্রামের যুবক জোবায়েরের সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। পরে আসলাম নিজেই বিবাদীদের উপর হামলা চালিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেন যাহার মামলা নং১৭৪/১৯,
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে জোবায়ের, গোলাম মোস্তফা, ইব্রাহিম মিয়া, জাহিদ মিয়া, নালু মিয়া, নিজাম মিয়া, আব্দুল মোহাম্মদ, লোকমান, সাগর, নাহিদসহ লাইলি বেগম, হাসি বেগম সহ অনেকেই ,তারা সবাই গরিব পরিবারের সদস্য।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, আসল হামলার শিকার ছিলেন এই নিরীহ পরিবারগুলো। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রভাব ও ঘুষের মাধ্যমে বাদী আসলাম ২৬ ধারার সার্টিফিকেট তুলে আনেন। অথচ প্রকৃত আহতরা গরিব হওয়ার কারণে হাসপাতালে থেকেও সেই সার্টিফিকেট পাননি। বরং তারা যখন সার্টিফিকেট নিতে যান, তখন তাদেরকে তা দেওয়া হয়নি।
জোবায়ের বলেন, আমি গরিব মানুষ, দিনমজুরি করে সংসার চালাই। ঈদের দিন সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে আসলাম মামা আমাদের ওপর হামলা করে। পরে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। আমরা অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার।
গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা গরিব বলে আমাদের কণ্ঠ কেউ শোনে না। অথচ সত্য হলো, আমাদেরই মারধর করা হয়েছিলো। এখন আমরা নির্দোষ হয়েও আসামি। আমাদের অনেক জনের মাথায় দায়ের কোপ ছিলো, তবুও ২৬ ধারার সার্টিফিকেট আমাদের পক্ষে দেওয়া হয়নি। আমরা অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। কিন্তু তারা একদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে ২৬ ধারার সার্টিফিকেট পাইছে।
জাহিদ মিয়ার অভিযোগ, আসল অপরাধীরা প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো গরিবরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। ন্যায়বিচার চাই।
নারী আসামি লাইলি বেগম ও হাসি বেগম জানান, আমরা নারী হয়েও অন্যায়ের মামলার আসামি। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আমাদের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী নালু মিয়া বলেন, আমরা চাই, আদালত সরেজমিনে তদন্ত করুক। তাহলেই বোঝা যাবে কারা দোষী আর কারা নির্দোষ।
বাদী আসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি, তার স্ত্রী বলেন আমরা ২৬ ধারার মামলা করেছি, এবং আপোষ এর কথাবার্তা চলিতেছে।
স্থানীয় সাধারণ মানুষও দাবি করেছেন, গরিব নিরীহ মানুষের উপর অন্যায় করা হচ্ছে। তারা আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা বের করে নির্দোষদের মুক্তি দেওয়া হোক।
মানবিক দিক বিবেচনায় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা আশাবাদী যে, আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব বা অর্থের বিনিময়ে নয়, প্রকৃত সত্যের ভিত্তিতেই রায় দেবেন।