শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে ৪টি চুরির মামলা!

মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে একযোগে চারটি চুরির মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কয়রাকুড়ি গ্রামে।

আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কয়রাকুড়ি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ মাস্টারের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী লাকী আক্তারের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আরিফ বিভিন্ন অজুহাতে ওই নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

প্রায় এক মাস আগে লাকীর সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আরিফ। রাজি না হওয়ায় মানসম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে দুই ধাপে এক লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর চলতি বছরের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে বারোটার দিকে আরিফ লাকীর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় লাকীর স্বামী টের পেয়ে হাতেনাতে ধরলেও আরিফ পালিয়ে যায় এবং তার পায়ের স্যান্ডেল ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ভুক্তভোগী ৭ সেপ্টেম্বর শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (মোকদ্দমা নম্বর-২৩৫/২৫) দায়ের করতে বাধ্য হন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আরিফ তার স্ত্রী উম্মে হানী, আত্মীয় সুমি বেগম, জোস্না আক্তার ও নাছিমা বেগমকে পৃথক বাদী বানিয়ে লাকীর বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় চারটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আরিফ জানান, “আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করলে আমিও চুরির মামলা প্রত্যাহার করে নেবো।”

অন্যদিকে ভুক্তভোগী লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “ধর্ষণের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার বিরুদ্ধে সাজানো চুরির মামলা দেয়া হয়েছে। আরিফ ও তার পরিবার আমাকে মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page