কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের নতুন ২ নম্বর ওয়ার্ড, নতুন বাহারছড়া এলাকার বাঁকখালী নদীর জমি নিয়ে উদ্ভূত বিরোধে সঠিক তদন্ত ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের বহু বছর ধরে বসবাসরত স্থানে “নদীর জায়গা” দাবি করে হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। এতে তারা চরম মানবিক সংকটের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আমানুল হক আমান বলেন,
“প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা এবং জেলা প্রশাসকের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন যদি প্রমাণ হয় যে এটি সত্যিই বাঁকখালী নদীর জায়গা, তবে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি আমাদের বৈধ জায়গাগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ ম্যাপ প্রদান করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়ানো যায়।”
“উচ্ছেদের নামে যদি হয়রানি হয়, তাহলে এটি হবে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি চরম অবিচার। আমরা চাই, প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করে বাস্তবতা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।”
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা ঐ এলাকায় বৈধভাবে বসবাস করে আসছেন এবং অনেকেই সরকারি কাগজপত্রসহ জমি মালিকানার দাবি তুলে ধরেছেন। সেক্ষেত্রে কোনো পূর্ব সতর্কতা বা উপযুক্ত বিকল্প না দিয়ে হঠাৎ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হলে তারা ঘরহারা হয়ে পড়বেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“আমরা কেউ নদী দখল করিনি। তবে যদি প্রশাসন প্রমাণ করতে পারে যে এটি নদীর জায়গা, তাহলে আমাদের অন্তত অন্য কোথাও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নদী ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করলেও স্থানীয়রা বলছেন, কোনো জায়গায় যদি মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বাস করে এবং সেখানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তৈরি হয়, তাহলে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মানবিক ও বাস্তবভিত্তিক চিন্তা-ভাবনা করা প্রয়োজন।
অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধানের পথে এগোনোর জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের নতুন বাহারছড়া এলাকার ২নং ওয়ার্ডের এলকাবাসী