শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

দুর্গাপুরে শিশু সচেতনতার অভাব ও দারিদ্রের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত: বাড়ছে শিশুশ্রম

মোঃ খান সোহেল নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় শিশু সচেতনতার অভাব ও দারিদ্রের কারণে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। অসচেতন অভিভাবকরা পারিবারিক প্রয়োজনে ও দারিদ্রের কারণে অর্থ উপার্জনের জন্য অবুঝ শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে শিশুশ্রম আইন চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ উপজেলার সিংহভাগ চাষি চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। সেচ ব্যবস্থায় বর্তমানে অসুবিধা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা। তাই তাদের শিশুদের অর্থ উপার্জনে ব্যবহার করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। যে বয়সে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে শিশু তাদের পিতা-মাতাকে সাহায্য করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, ঔষুধের দোকান, বিস্কুট, বেকারী, ওয়েল্ডিং, রিকশা-ঠেলাগাড়ি, ট্যাম্পু ও ট্রাকের হেল্পার, হোটেল-রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে কাজ করছে। এ দৃশ্য এখন প্রতিটি হাট বাজারেই দেখা যায়। আবার অনেকে গলায় ডালি ঝুলিয়ে হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজের মাঠে, ফেরি করে বাদাম, আচার, চানাচুর বিক্রি করছে। প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে সরকার বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম আশানুরূপ প্রভাব ফেরতে পারছে না। এক্ষেত্রে দারিদ্রকে যেমন দায়ী করা যায়, তেমনি অভিভাবকরা অসচেতনতার জন্য দায়ী। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপুর উপজেলায় শিশুশ্রম ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ছিটকে পড়ছে শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ থেকে। এই উপজেলায় লোকসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের উপরে। অসচেতন অভিভাবকরা তাদের সাংসারিক আয়ের প্রয়োজনে তার অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতকর নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে অর্থ উপার্জনে ব্যতি ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এক অনুসন্ধানে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক- হোসনে আরা, ইদ্রিছ আলী, শফিকুল ইসলাম, জয় সরকার, সুফিয়া বেগম, নিপা আক্তার সহ অনেকেই সংবাদকে বলেন, আমরা বিভিন্ন রেস্তোরা, ওয়েল্ডিং কারখানার কাজ কাম সহ স্থানীয় নদী হতে সকালে গিয়ে সন্ধা পর্যন্ত কালো পাথর ও নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে নদীর পাড়ে বিক্রি করে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। নিপা বেগম হাসতে হাসতে বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে সহ পাঁচজন সদস্য। আমার তেমন কোন অভাব নাই, ঘরে কারেন্ট নিছি, টিভি, ফ্রিজ কিনে এনে এখন খাটে থাকি। আমাগোও তো সুখ করতে মনে চায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page