শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

ভার‍তের মেঘালয়ে বাংলাদেশি নাগরিক কে পিটিয়ে হত্যা

মো: রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অপহরণের চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন ভারতীয়রা।

স্থানীয়দের মারধরে আহত ওই বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে মঙ্গলবার মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার বানরাপ জিরওয়া বলেছেন, গ্রামবাসীরা আহত অবস্থায় আকরামকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তাকে মাহেশখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান তিনি।

জেলা পুলিশের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।

নিহত ব্যক্তির নাম আকরাম হোসেন
পিতা মো: জহির উদ্দিন, বাকাকুড়া কাংশা ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাসিন্দা
নিহত আকরাম হোসেনের নামে মানিকগঞ্জ শিবালয় থানায় ২০২৩ সালে একটি অপহরণ মামলা রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই ও পান ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আকরামের মৃত্যুর খবর পাই। তবে কীভাবে সে ভারতে গেল, কিছুই জানি না। মরদেহ ফেরানোর জন্য আমরা বিজিবির সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির নকশী বিওপির সুবেদার আব্দুল লতিফ জানান, “ঘটনার বিষয়ে ভারতের বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।”

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘালয়ের খাসি হিলস জেলার কৈথা কোণা গ্রামের বাসিন্দারা তাকে আটক করেন।

মেঘালয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, গত সোমবার কমপক্ষে আট বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রোংদাংগাই গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ সময় তারা গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জড়ো প্রতিরোধ করলে বাংলাদেশিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আকরামসহ ছয় বাংলাদেশিকে আটক ও বেধড়ক মারপিট করেন গ্রামবাসীরা।

পুলিশ সুপার জিরওয়া বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে একটি রিভলভার, পরিচয়পত্র, তিনটি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আদালতে তোলা হয়েছে এবং বাকি দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page