শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন
Headline :
2nd UN World Social Summit concluded with a commitment toward social protection. সারাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, কেউ রুখতে পারবে না, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সামাজিক সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার Commitment toward Social Protection.  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নেত্রকোনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সাথে দর্পণ টিভির প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম নুর উন নবীর জানাজা সম্পন্ন, জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা মহাঝুঁকিপূর্ণ রোগী ও স্থানীয়দের ক্ষোভ

পিপলু মারমা, বান্দরবান:

বান্দরবান জেলার দুর্গম রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার অবস্থা বর্তমানে চরম সংকটপূর্ণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সামান্য অসুস্থতা কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও রোগীদের সরাসরি ‘রেফার’ করে পাঠানো হচ্ছে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে। এতে পাহাড়ি দুর্গম পথ পেরিয়ে রোগী পরিবহনে সময় ও খরচের বোঝা পড়ছে, যা অনেক সময় জীবনহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

একইভাবে, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগা অনেকে বলেন, এখানে চিকিৎসা করাতে গেলে তারা প্রথমেই বলে জেলা হাসপাতালে যান। গরিব মানুষ এত খরচ করবে কোথা থেকে?

পরিসংখ্যান বলছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অনানুষ্ঠানিক তথ্যমতে, রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিমাসে গড়ে ৬০০–৭০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে প্রায় ৪৫–৫০% রোগীকে বিভিন্ন কারণে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্ষা মৌসুমে সড়কপথ বন্ধ হলে এই যাত্রা আরও দীর্ঘ হয়, যা রোগীদের জন্য প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করে।

জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
রুমা উপজেলা পরিষদের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, “আমরা বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি চিকিৎসক নিয়োগ ও সরঞ্জাম দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা শুধু রোগীর জীবন রক্ষাই নয়, বরং সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির অন্যতম উপায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত একজন গাইনি চিকিৎসক, একজন সার্জন, আধুনিক ডায়াগনস্টিক সুবিধা এবং ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা আরো জোরালো ভাবে চালু করা জরুরি।
তাছাড়া একটি নোংরা হাসপাতাল বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যেমন:
সংক্রমণ ছড়ানো অপরিষ্কার বিছানা, মেঝে, টয়লেট এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে রোগীরা নতুন কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন, যা তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
রোগের বিস্তার হাসপাতাল যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকে, তাহলে এটি বিভিন্ন রোগের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। বিশেষ করে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন রোগীদের জন্য এটি খুবই বিপজ্জনক।
রোগীর মানসিক চাপ নোংরা পরিবেশ রোগীদের মধ্যে হতাশা এবং মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। রোগীরা এমনিতেই দুর্বল থাকেন, এমন অবস্থায় অপরিষ্কার পরিবেশ তাদের সুস্থতার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। একই সাথে, আমাদেরও হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন হতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্থানীয়রা আশাবাদী, দ্রুত পদক্ষেপ নিলে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হবে এবং মানুষকে আর দূরপথ পাড়ি দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page